আপনি কি তাঁর সঙ্গে স্বস্তিতে থাকেন?
বিশ্বাস কেবল বড় বড় বিষয়ে নয়; বরং ছোটখাটো বিষয়ও বিশ্বাসের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। রোজকার জীবনে ছোট ছোট কথায় আর কাজে মিল আছে কি না, মন খুলে একে অপরের কাছে নিজেদের সব কথা বলতে পারেন কি না, এগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি কী করছেন, সে বিষয়ে যদি নজরদারি করার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তাহলে সম্পর্কটি নিয়ে আবার ভাবুন।
কঠিন মুহূর্তে কি একে অপরের পাশে থাকেন?
বইয়ের পাতার মতো ‘অতঃপর তাহারা সুখে–শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল’ ব্যাপারটা বাস্তবে ঘটে না। বাস্তবের পৃথিবী রং বদলায়। বদলে যায় পরিস্থিতি। তবে যেকোনো সমস্যায় একে অন্যের পাশে থাকাটা জরুরি। ভালো সম্পর্ক মানেই যে সেখানে তর্ক বা মতের অমিল হয় না, তা কিন্তু নয়। তবে এমন পরিস্থিতিও ইতিবাচকভাবে সামলাতে হয় দুজন মিলেই।
একে অপরকে বিকশিত হয়ে উঠতে দেন?
সময়ের সঙ্গে মানুষ বদলায়। বয়সের সঙ্গে হয়ে ওঠে বিকশিত। একটা স্বাস্থ্যকর সম্পর্কে থাকা মানুষ বিকশিত হতে পারে স্বাচ্ছন্দ্যে।
আপনি ও আপনার সঙ্গী যদি একে অন্যের ব্যক্তিজীবনকে পূর্ণতার পথে নিয়ে যেতে বাধা হয়ে দাঁড়ান, তাহলে বুঝতে হবে সম্পর্কটি খুব একটা জোরালো নয়। এমনটা হয়ে থাকলে নিজেদের ক্ষেত্রে সহনশীলতার চর্চা করুন আরেকটু বেশি।
তিনি কি আপনাকে বোঝেন?
সঙ্গী আপনার কথা শুনছেন, তা নিঃসন্দেহেই দারুণ ব্যাপার। তবে এর চেয়েও জরুরি বিষয় হলো, সঙ্গী আপনাকে বুঝতে পারছেন কি না। অর্থাৎ আপনার অনুভূতি, স্বপ্ন কিংবা সংগ্রামকে তিনি অনুভব করতে পারছেন কি না। কেউ আপনাকে গভীরভাবে জানার বা বোঝার চেষ্টা করছেন, তার মানে তিনি আপনার বিষয়ে যত্নশীল। তিনি যদি আপনাকে বোঝেন, তাহলে আপনি একলা অনুভব করবেন না; বরং সম্পর্কের সুখ উপভোগ করবেন চমৎকারভাবে।
সুত্র : টাইমস অ্ব ইন্ডিয়া
No comments:
Post a Comment