আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধে প্রজ্ঞাপন জারি

 



সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলো রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। অর্থাৎ এই নামে বাংলাদেশে আর রাজনীতি করা যাবে না।

সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানান  স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। 

বিস্তারিত আসছে.

হিটলারের মৃত্যু, ৮০ বছর পর জানা গেল নতুন তথ্য

 

হিটলারের মৃত্যু আসলে কীভাবে হয়েছিল, ৮০ বছর পর জানা গেল নতুন তথ্য

৩০ এপ্রিল ১৯৪৫: সোভিয়েত রেড আর্মি বার্লিন ঘিরে ফেলেছে, হিটলারের বাংকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই সময়ে, অ্যাডলফ হিটলার বার্লিনের চ্যান্সেলর ভবনের পাশে অবস্থিত বাংকারে আত্মহত্যা করেন। যদিও এই ঘটনাটি ঐতিহাসিকভাবে নথিভুক্ত, হিটলারের মৃত্যু নিয়ে বহু ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ও মিথ প্রচলিত রয়েছে। কেউ কেউ দাবি করেন, হিটলার দক্ষিণ আমেরিকায় পালিয়ে গিয়েছিলেন, আবার কেউ বলেন, তিনি অ্যান্টার্কটিকায় গোপন ঘাঁটি স্থাপন করেছিলেন।

হিটলারের মৃত্যুর ৮০ বছর পর, হামবুর্গ এপেনডর্ফ বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের ফরেনসিক মেডিসিন ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. ক্লাউস পুশেল তাঁর নতুন বই ‘Der Tod geht über Leichen’ বা ‘মৃত্যুর পথে লাশ পড়ে থাকে’ (প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২৫) তে হিটলারের মৃত্যুর অজানা দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন।

ড. পুশেল তাঁর বইয়ে হিটলারের মৃত্যুর সময়কার ফরেনসিক তথ্য ও সাক্ষ্য বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, হিটলারের মৃত্যুর পর তাঁর দেহাবশেষ সোভিয়েত বাহিনী উদ্ধার করে এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে পুনরায় দাফন করা হয়।

এছাড়াও, হিটলারের খুলি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ দাবি করে, উদ্ধারকৃত খুলি হিটলারের, তবে কিছু গবেষক মনে করেন, এটি একজন মহিলার খুলি হতে পারে।

এই নতুন গবেষণা ও তথ্য হিটলারের মৃত্যু নিয়ে প্রচলিত মিথ ও ষড়যন্ত্র তত্ত্বের উপর নতুন আলো ফেলেছে।পুশেল লিখেছেন, ‘সায়ানাইড ক্যাপসুল মুখে দিয়ে কামড়ে ভেঙে খাওয়া এবং এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মাথায় গুলি করে যৌথ প্রক্রিয়ায় আত্মহত্যাই ছিল আ্যাডলফ হিটলারের মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ। হিটলার ৩০ এপ্রিল ১৯৪৫ সালে তাঁর বাংকারে আত্মহত্যা করেন। তার কিছু পরেই সোভিয়েত বাহিনী বার্লিনে হিটলারের বাংকারে এসে উপস্থিত হয়।

হামবুর্গ ইনস্টিটিউট অব ফরেনসিক মেডিসিনের সাবেক প্রধান ক্লাউস পুশেল ১৯৯০ সালে মস্কোর সামরিক মহাফেজখানায় রক্ষিত মাথার খুলি ও অ্যাডলফ হিটলারের দেহের রাশিয়ান ময়নাতদন্তের ফলাফল পরিদর্শন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি তাঁর সদ্য প্রকাশিত বইটিতে বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ভিত্তিতে আডলফ হিটলারের মৃত্যরহস্য বিশ্লেষণ করেছেন। অ্যাডলফ হিটলারের মৃত্যুর ৮০ বছর পর হামবুর্গের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ হিটলারের মৃত্যু নিয়ে নানা মিথ ভেঙে দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘যুদ্ধের শেষে হিটলারের মৃত্যুকে ঘিরে কয়েক দশক ধরে অনেক মিথ ছড়িয়েছিল, যেগুলোর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।

নজরুল জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান এবার ‘নজরুল মঞ্চে’ করার দাবি

 

নজরুল জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান এবার ‘নজরুল মঞ্চে’ করার দাবি

প্রতি বছর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ময়মনসিংহের ত্রিশালের সৈয়দ নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে এবার ত্রিশালের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ কবির জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠানটি যেন তার স্মৃতিবিজড়িত স্থান ত্রিশালের দরিরামপুরে অবস্থিত ‘নজরুল মঞ্চে’ অনুষ্ঠিত হয় সে দাবি করেছেন। তাদের বক্তব্য, কবির স্মৃতিবিজড়িত স্থান ত্রিশালের দরিরামপুর। এখানে অবস্থিত ‘নজরুল মঞ্চ’ কবির স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে নির্মিত হয়েছে। তিনি একসময় এখানকার দরিরামপুর স্কুলে অধ্যয়ন করেছিলেন। ফলে এই স্থান নজরুলের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সাক্ষ্য বহন করে। ত্রিশাল তথা ময়মনসিংহ অঞ্চলের আপামর জনগণের বিশ্বাস, নজরুল মঞ্চে আয়োজন হলে তা হবে সবচেয়ে সম্মানজনক ও যথার্থ। এতে স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণ যেমন বাড়বে, তেমনি জাতীয় পর্যায়ে নজরুল মঞ্চের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও মূল্যায়নও নতুন মাত্রা পাবে। 
এই দাবির বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি জোরালো আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে এই বছর থেকে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান নিয়মিতভাবে নজরুল মঞ্চেই অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল বাকী উল বারী জানান, নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠান হবে কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠান হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি জানান, ত্রিশালে নয়, কুমিল্লায় জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে নজরুল ভক্তদের আশা, প্রশাসন এই আবেগঘন ও যৌক্তিক দাবির প্রতি সদয় দৃষ্টি দেবে এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

আজকাল করিডোর নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে সবখানে, সর্বস্তরে এমনকি রাজনীতিতে। চলুন আগে জানি করিডোর কি?



আজকাল করিডোর নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে সবখানে, সর্বস্তরে এমনকি রাজনীতিতে। চলুন আগে জানি করিডোর কি? 
 
করিডোর : করিডোর (Corridor) শব্দটির বাংলা অর্থ হচ্ছে পথ, দ্বার, বা চলাচলের করিডোর/পথ। আন্তর্জাতিক রাজনীতি বা ভূরাজনীতিতে এটি একটি বিশেষ অর্থে ব্যবহৃত হয়।

🔹 করিডোর বলতে কী বোঝায়?

করিডোর হলো একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ড বা রাস্তা, যা এক দেশ অন্য দেশে প্রবেশ বা পণ্য/মানবিক সাহায্য পাঠানোর জন্য ব্যবহার করতে দেয়, সাধারণত সীমিত সময় ও উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট করে।:

🔸 ধরুন, ভারত চায় নেপাল বা ভুটানে কোনো পণ্য পাঠাতে, কিন্তু মাঝখানে বাংলাদেশ পড়ে।
বাংলাদেশ যদি ভারতের ট্রাকগুলোকে তার ভেতর দিয়ে পাস করার অনুমতি দেয় — সেটাই "ট্রানজিট করিডোর"

🔸 আবার, কোনো যুদ্ধ বা সংকটপূর্ণ এলাকায় (যেমন: মায়ানমার), যদি বাংলাদেশ সীমান্ত ব্যবহার করে সেখানে খাবার, ওষুধ বা আশ্রয় সামগ্রী পাঠানোর পথ খুলে দেয়, সেটাই "মানবিক করিডোর"


🔸 করিডোর ৩ ধরণের :

  1. মানবিক করিডোর (Humanitarian Corridor):
    যুদ্ধ বা সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাহায্য পৌঁছাতে ব্যবহৃত পথ।

  2. বাণিজ্যিক করিডোর (Trade Corridor):
    পণ্য পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত আন্তর্জাতিক রুট।

  3. ট্রানজিট করিডোর (Transit Corridor):
    একটি দেশ থেকে আরেক দেশে যাওয়ার জন্য তৃতীয় দেশের ভেতর দিয়ে পারাপারের অনুমতি।


এই ধারণাটি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও কূটনীতি—সবকিছুর সাথে জড়িত।

এখন আসুন বাংলাদেশের করিডোর নিয়ে কেন বেশি আলোচনা হচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা করি --

"মায়ানমার সীমান্তে মানবিক সাহায্য পাঠাতে বাংলাদেশের করিডোর ব্যবহার" বলতে বোঝানো হচ্ছে, মায়ানমারের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে (বিশেষ করে কাচিন, চিন, বা রাখাইন রাজ্যে) কোনো একটি দেশ বা আন্তর্জাতিক সংস্থা যখন খাদ্য, ওষুধ বা অন্যান্য জরুরি সামগ্রী পাঠাতে চায়, তখন তারা বাংলাদেশকে অনুরোধ করে যেন এই সাহায্যগুলো বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে, বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল ব্যবহার করে, মায়ানমার সীমান্তে পৌঁছাতে দেওয়া হয়।

এখানে "করিডোর" বলতে বোঝানো হয় বাংলাদেশের একটি নির্দিষ্ট ও নিরাপদ পথ বা রুট, যা দিয়ে এই সাহায্যসামগ্রী বহন করে মায়ানমারের অভ্যন্তরে পাঠানো যায়।

  • ধরুন ভারত বা জাতিসংঘ চায় চীন সীমান্তের কাছাকাছি মায়ানমারের কোনো গোষ্ঠীকে মানবিক সাহায্য পাঠাতে।

  • কিন্তু মায়ানমারের ভেতরে রাস্তা নিরাপদ নয়, বা দেশটির সরকার অনুমতি দিচ্ছে না।

  • তখন বিকল্প রুট হিসেবে তারা বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে সাহায্য পাঠানোর অনুরোধ করতে পারে।

বাংলাদেশ যদি অনুমতি দেয়, তাহলে এই পথকে "মানবিক করিডোর" বলা হয়।



পদ্মা নদীতে টর্নেডো, পানির স্তম্ভ উঠে গেল আকাশের দিকে

 

  


কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে টর্নেডোর উৎপত্তি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের হাটখোলা এলাকায় পদ্মা নদীতে পানির স্তম্ভ আকাশের দিকে উঠে যায়। কয়েক মিনিট পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে জানতে কুমারখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার ও ঈশ্বরদী আবহাওয়া কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, ফেসবুকের ভিডিও থেকে বিষয়টি জানতে পেরেছেন।

Israel intercepts almost all flotilla vessels trying to reach Gaza

  Israel’s navy boarded   vessels aiming to break the country’s blockade of Gaza , detaining hundreds of people including Swedish activist G...